যিনি সারাজীবন কষ্ট করেছেন
যিনি জন্মের আগেই পিতাকে হারিয়েছেন।
জন্মের পরে হারিয়েছেন মমতাময়ী মা’কে।
শৈশবে হারিয়েছেন অভিভাবক দাদাকে।
একে একে হারিয়েছেন পিতৃসম প্রিয় চাচা এবং প্রিয় সহধর্মিণীকে।
ছেলে সন্তানদের সবাইকে বাল্যকালেই হারিয়েছেন।
যিনি আল্লাহর দ্বীনের জন্য নিজের জন্মভূমিতে পর্যন্ত থাকতে পারেননি।
দিনের পর দিন যার চুলায় আগুন জ্বলেনি।
খেজুর আর পানি খেয়েই মাসের পর মাস কাটিয়েছেন।
ক্ষুধার জ্বালায় পেটে পাথর পর্যন্ত বেঁধেছেন।
যার ঘর ছিল মাটির।
যার ঘর ছিল মাটির আর বালিশ ছিল খেজুরের ছোবলার।
তায়েফের মাঠে প্রস্তরাঘাতে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত হয়েও যিনি দোয়া চেয়েছেন,
‘হে আল্লাহ। এদের জ্ঞান দাও, এদের ক্ষমা করো’।
সারারাত আল্লাহর দরবারে অশ্রু বিসর্জন করে উম্মতের জন্য দোয়া চাইতেন।
যিনি মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে আনতে গিয়ে গোটা জীবন অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন।
তিনি কে?
তিনিই আমাদের প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
তিনিই ‘রাহমাতুল্লিল আলামীন’ বা ‘সমগ্র পৃথিবীর জন্য রহমত স্বরুপ’।
আর তিনিই আমাদের বিশ্বময় ২০০ কোটি মানুষের জীবন এবং আমাদের মা-বাবা, ভাই-বোন, পুত্র-কন্যা, পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদের চেয়েও লক্ষ-কোটি গুন বেশী প্রানাধিক প্রিয়তম।
আমরা শত শত কোটি মানুষগুলো পুরোটা জীবন এই অপেক্ষায় কাটিয়ে দেই।
একদিন হাশরের মাঠে প্রিয় নবীর সাক্ষাত মিলবে।
প্রিয়তম নবীর হাতে পানি পানের সৌভাগ্য মিলবে।
প্রিয় রাসূলের শাফায়াত ও প্রিয়তমের মোবারক মুখখানি একনজর দেখার অপেক্ষায়। নিরবে নিভৃতে অশ্রু চোখে।
কাটিয়ে দেই সারাটা জীবন। তাই সমগ্র পৃথিবীর জন্য রহমত স্বরুপ সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মহানবীর শানে বিন্দুমাত্র বেআদবী বিশ্বময় ২০০ কোটি মানুষের জীবন হরণের সমতূল্য।
বিশ্বের এক চতুর্থাংশ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে এহেন ঘৃণ্যতম আঘাত কখনই দূর্বৃত্তের বাক স্বাধীনতার অধিকার হতে পারে না।
যিনি সারাজীবন কষ্ট করেছেন, তিনি আর কেউ নন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ
social Media Link;
Facebook | Twitter | Instagram
ইসলামিক প্রাথমিক শিক্ষা জানতে এখানে ক্লীক করুন